খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাটে ২০২২-২৩ রবি মৌসুমে শীতকালীন নিবিড় ফসল উৎপাদন কর্মসূচির আওতায় ১২ লাখ ৫ হাজার ৬৪৯ মেট্রিক টন ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণকরেছে স্থানীয় কৃ ষি বিভাগ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র বাসস’কে জানায়, কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকারের প্রণোদনা ও কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় ব্যাপক ফসল উৎপাদনে ঝুঁকে পড়েছেন কৃষকরা। কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিবিড় পর্যক্ষেণের কারণে বাজারে সার ও বিভিন্ন ফসলের উন্নত মানের বীজ পর্যাপ্ত পরিমান সরবরাহ থাকায় ফসল চাষে কৃষকদের কোন সমস্যা হচ্ছে না।
জয়পুরহাটে একদিকে রোপা আমন ধান কাটা-মাড়াই হচ্ছে অন্যদিকে শীতকালীন ফসল চাষের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন স্থানীয় কৃষকরা। জেলায় ২০২২-২৩ রবি মৌসুমে ৬৬ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন বিভিন্ন ফসল চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে । এসব ফসলের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২ লাখ ৫ হাজার ৬৪৯ মেট্রিক টন। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য জেলায় সরবরাহ করা সম্ভব হয়ে থাকে।
উত্তরাঞ্চলের মধ্যে খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা হিসেবে পরিচিত জয়পুরহাট জেলায় চলতি রবি মৌসুমে বিভিন্ন ফসল চাষের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রয়েছে শাকসবজি ৫ হাজার ২৬৭ হেক্টর, এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৫০৮ মেট্রিক টন। আলু ৩৮ হাজার ৩৬৫ হেক্টর, এতে উপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯ লাখ ২৮ হাজার ১২০ মেট্রিক টন। সরিষা ১৫ হাজার ৩৭ হেক্টর, এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ২৫ হাজার ২৬২ মেট্রিক টন। গম ২ হাজার ৩৭০ হেক্টর, এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৫৮ মেট্রিক টন।
পেঁয়াজ ৮১৬ হেক্টর, এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯ হাজার ২১৯ মেট্রিক টন। মরিচ ৩৩০ হেক্টর, এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭১০ মেট্রিক টন। ভূট্টা ৮৫০ হেক্টর, এতে উৎপাদর লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৮ হাজার ৯২৫ মেট্রিক টন। লতিকচু ৯৫০ হেক্টর, এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪২ হাজার ২৭৩ মেট্রিক টন ও কলা ৭০০ হেক্টর , এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ হাজার ৮শ মেট্রিক টন।
এ ছাড়াও অন্যান্য ফসল চাষের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ১ হাজার ৩১৬ হেক্টর । ২০২২-২৩ রবি মৌসুমে জেলায় শাক সবজিসহ অন্যান্য ফসল চাষ সফল করতে বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকারের কৃষি মন্ত্রণায়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের ফসল চাষ ও সার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে নিবিড় ভাবে পরামর্শ প্রদান করছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত উপ পরিচালক আব্দুল করিম। অতিরিক্ত লাভের আশায় ইতোমধ্যে আগাম জাতের শাক সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার কৃষকরা বলেও জানান কৃষি কর্মকর্তারা । বাসস