শকুনী লেক মাদারীপুরের অন্যতম বিনোদন স্পট। জেলার প্রাচীন এক ঐতিহ্য। মাদারীপুরবাসী অবসর পেলে বিনোদনের জন্য লেকটিতে ঘুরতে আসেন। এলাকবাসীর দাবির মুখে লেকটির উন্নয়ন কাজ অপরিহার্য হয়ে উঠছিল। যা অনেক আগেই শেষ হয়েছে। বর্তমানে বেশ পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি লেকটি।
মাদারীপুরবাসীদের বিনোদনের জন্য সুন্দর পরিবেশ ছিল না। লেকটির উন্নয়নের মধ্যে দিয়ে এখন তা পূরণ করেছে । এখন প্রতিদিনেই স্থানীয় মাদারীপুরবাসীরা ছাড়াও অনেক দূর থেকে আসা মানুষদের ভির লেগেই থাকে এ শকুনী লেকটিতে ঘিরে।
মাদারীপুর শহরের অনেক পুরান এই শকুনী লেকটি শহরের প্রাণকেন্দ্র স্থলের ২০ একর ভূমি নিয়ে এ শুকুনী লেকটির অবস্থান। মাদারীপুর শহর আড়িয়াল খাঁর নদীর ভাঙ্গনের ফলে শহরের অনেক অংশ নদীতে বিলিন হয়ে যাচ্ছিল।
তখন ১৯৪৩ সালে মাদারীপুর শহরকে আড়িয়াল খাঁর নদীর ভাঙ্গনের মুখ থেকে রক্ষা করতে এই শকুনী লেকটি কাটা হয়েছিল, মাদারীপুর শহরকে তৃতীয়বারের মত গড়ে তোলার জন্য। জনশ্রুতি রয়েছে উড়িয়া এবং বিহারী মাটিকাটা শ্রমিকদেরকে দিয়ে এ লেকটি কাটা হয়েছিল।
২০ একর ভূমির এ শকুনী লেকটিকে যে ভাবে সাজানো হয়েছে লেকের চারিপাশে আছে বসার স্থান, রয়েছে দুই পাশে পাকা ঘাট যাতে সাধারণ মানুষ গোছল করতে পারে, দুইটি পানির ফোয়ারা, পাঁচ তলা বিশিষ্ট উচ্চ সেলফি টাওয়ার সেখান থেকে দেখা যায় পুরো লেকটিকে।
আছে বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি এবং নব নির্মিত শহীদ মিনার, সহকারি পুলিশ সুপারের কার্যালয়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর কার্যালয়, শিুশুদের স্কুল, সার্কিট হাউজ, চৌধুরী ক্লিনিক, লেক ভিউ ক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, জেলা শাখার জাতীয় মহিলা সংস্থা, স্বাধীনতা অঙ্গন, বঙ্গবন্ধু ল’ কলেজ, সরকারি সম্মিলিত অফিসের বহু তলা ভবনসহ অন্যান্য স্থাপনা। শিশুদের জন্য রয়েছে পৌর পার্ক।