আমাদের
দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো
সাইনাস । শরীরের এই
অঙ্গটি মূলত বাতাস চলাচলে
সাহায্য করে। তবে সাইনোসাইটিস
সমস্যা কেন হয়? জানেনকি?
হ্যা নাকের হাড় বাঁকা থাকলে
এই সমস্যা হয়। আবার অ্যালার্জির
কারণেও হতে পারে।
সাইনাসের
কারণে তীব্র মাথা যন্ত্রণা, নাক-মাথায় ভারী ভাব, অনেক
সময় জ্বরও আসতেপারে। মুখের হাড়ের ভেতর যে ফাঁপা,
বাতাসভর্তি জায়গা থাকে, তার ভেতরের ঝিল্লিতে
কোনোরকম বাধা এলে সাইনোসাইটিসের
সমস্যা শুরু হয়।
এই
সমস্যা দূর করার জন্য
নিয়ম মেনে কিছু ওষুধ
খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। তবে কিছু ঘরোয়া
উপায় মেনে চললে এই সমস্যা
অনেকটাই দূরে রাখা যায়:
*প্রতিদিন
ডায়েটে রাখুন এক কোয়া রসুন
ও মধু। এই দুই
উপাদানেই একাধিক রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা
রয়েছে। বিশেষ করে শ্লেষ্মাজনিত অসুখ
ঠেকাতে এদের জুড়ি নেই।
এক কোয়া রসুনের সঙ্গে
দু’চামচ মধু মিশিয়ে
খেলে সাইনোসাইটিস দূরে থাকবে।
*কম
জলীয়বাষ্পযুক্ত স্থান এড়িয়ে চলুন। সাইনোসাইটিসের ক্ষেত্রে স্যাঁতসেঁতে বা অতিরিক্ত শুষ্ক
আবহাওয়াও ক্ষতিকারক। পর্যাপ্ত আলো-বাতাস আছে,
এমন জায়গায় থাকুন।
*শ্লেষ্মাজনিত
সমস্যাকে দূরে রাখলেই সাইনাসের
সমস্যা অনেকটা দূরে থাকে। তাই
গরম পানির ভাপ নিন। এতে
নাসিকাপথ ভিজে থাকে ও
শ্লেষ্মা পাতলা হয়ে বেরিয়ে আসে।
*আদা,
মধুর মিশ্রণ শ্লেষ্মার জন্য অত্যন্ত উপকারী।
মধুর অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি ক্ষমতা শরীর গরম রাখে।
আদা প্রাকৃতির ভাবেই অ্যান্টিব্যাক্টিরিয়াল। এই দুই উপাদানের
মিশ্রণ প্রতি দিন খেতে পারলে
সাইনাসের সমস্যা থেকে অনেকটাই দূরে
থাকা যায়।
*গরম
পানীয় খান। চা-কফি
খেলে তাতে চিনি বাদ
দিন। স্যুপ খেলেও তা যেন খুব
মশলাদার না হয়।
*গরম
পানিতে একটি তোয়ালে ভিজিয়ে
ভালো করে নিংড়ে নিন।
এবার এই তোয়ালে মুখের
উপর দিয়ে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকুন। এতে অনেকটা আরাম
পাওয়া যায়।
*সিগারেটের
ধোঁয়া, বডি স্প্রে, ধুলোবালি
ইত্যাদিথেকে দূরে থাকুন। এসব
নাসিকাপথে প্রবেশ করে সাইনোসাইটিসের সমস্যা
বাড়ায়।